২ আগ, ২০১৫

ভারত ভ্রমন –পর্ব:- মানালি


ভারতের বিভিন্ন শহর নিয়ে ভ্রমণ ব্লগ লিখে আসছি আজ বেশ কদিন। কলকাতা , দিল্লী , আগ্রা , জয়পুর , আজমীররে পর সর্বশেষ আমি হামতাপাস ট্রেকিং নিয়ে লিখেছিলাম। হামতা পাসে ট্রেকিং এবং ক্যাম্পিং আমরা মানালী ট্যুরের মাঝেই করেছিলাম। আজ বসলাম মানালী নিয়ে লিখত। আগের লিখাগুলো পড়তে এ ব্লগসাইটে ঘুরতে পারেন বা উপরে লিখিত শহর গুলোয় ক্লিক করলেই হবে।

১৩/০৯/২০১৪

 চন্দিগড় থেকে আমরা সেই গতকাল রওনা দিয়েছি। সন্ধ্যায় HRTC এর বাসে চড়ে বসেছিলাম , চন্দিগড়ে প্রচুর হাটা – হাটি , সাইট সিইং এবং এর আগের ২ দিন টানা ট্রেন ভ্রমনে আমরা প্রায় অর্ধ মৃত ছিলাম। বাসে উঠেই মড়ার মত ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। চন্দিগড় – মানালী হাইওয়ের অনেক কুখ্যাত গল্প শুনেছি আগে। ভাগ্যিস ঘুমেই কাটিয়ে দিলাম সারা রাত , রাস্তার ভয়ংকর রুপ দেখতে হয়নি। তবে আধো ঘুমে মাঝে মাঝে চোখ অল্প একটু খুলে বাইরে তাকিয়েছি ঘোলা ভেজা কাঁচের ভেতর দিয়ে । কখনো পাহাড়ের ভেতরদিয়ে ট্যানেল বা কখনো সুরু বাঁক দিয়ে গাড়িটা রাগি ষাঁড়ের মত এগিয়ে যাচ্ছিল তখন চেখ আবার বন্ধ করে দিয়েছিলাম। যেন কিছু হলে না দেখি , দেখে মরার থেকে না দেখে মরা ভাল। চোখবন্ধ করা অবস্থায় শুনলাম বাসের ভেতর কেউ একজন তাদের নিজম্ব ভাষায় দোয়া দুরুদ পড়ছে , ভাষাটা হিন্দি নয় কিন্ত মধুর। এ দোয়া পড়ার শব্দ সাথে বাসের যান্ত্রিক শব্দ ব্যাতিত আর কোন শব্দ ছিলনা। সরি আমার পাশের সিটের আমার ভ্রমণ সঙ্গী সাফায়েতের নাক ঢাকার শব্দ আসছিল। আমার খুব প্রিয় এ মানুষটি জীবনে আর কিছু পারুক আর না পারুক দুটো জিনিস খুব ভাল পারে। একটি যে কোন পরিস্থিতিতে ঘুমোতে পারা অন্যটিও যে কোন পরিস্থিতিতে তার টয়লেট ধরে। 

২৬ এপ্রি, ২০১৫

“হামতা পাস” ট্রেকিং – The Valley of Gods

১৫/০৯/২০১৪
সাধারণত হামতা পাসের ট্রেক শুরু করার জন্য সবাই খুব ভোরে হোটেল ছাড়ে।এমন সুন্দর ঠান্ডা একটা সকালে কম্বল এর উষ্ন তাপমাত্রা থেকে বের হতে কার ভালো লাগে ? নেক সাহস আর মনবল খরচ করে অমরা অবশেষে ৮টার দিকে কম্বল এর মায়া ছাড়লাম।প্রতিজন আধঘন্টা করে টয়লেটে কাটিয়ে হোটেলের ছাদে গেলাম।সেই পাহাড়টাকে দেখতে যেটা গত দুদিন দুর থেকে উকি দিয়ে আমাদের মত সুদর্শণ যুবকদের দেখছিল , সাদা বরফের টুপি মাথায় দিয়ে। এ হোটেলটার প্রতি গত দুদিনেই কেমন যেন মায়া বসে গেছে , এর বারান্দা আর ছাদে আরাম কেদারায় বসে প্রাকৃতিক একটা স্বর্গ সারাদিন দেখা যায়। মনে হয় আমি এ হোটেলে আমার জীবনের বাকি সময়টা শুয়ে বসে কাটিয়ে দিতে পারতাম , শুধু যদি মালিক বেটা দিন প্রতি আমার ছেড়া-ফাটা মানিব্যাগ থেকে ৪০০ রুপি না গুনতো।
ছবি:- হোটেলের ছাদ থেকে।

৮ জুল, ২০১৪

রাঙ্গুনিয়ার কোদালা চা বাগান আর রাবার বাগান।

ব্যাপারাটা রাশিক হাফিজ নামে চট্রগ্রামের এক ঘুরুন্চি বালক থেকে শুরু। এ ছেলের সাথে আমার পরিচয় বান্দরবানের এক ট্রিপে।সে এত্ত ঘুরাঘুরি করে যে আমি ভেবে পাইনা সে পরিক্ষা দেয় কখন আর পড়ে কখন। সেটা একটা আশ্চর্য। যা হোক। বান্দরবানের ট্রিপের কয়দিন পরেই দেখি হাফিজ ইউনিভার্সিটি ফাকি দিয়ে বন্ধুদের নিয়ে কোদালা নামে কোথায় যেন গেল। ফেসবুকে ছবি দেখে খুব পছন্দ হলো জায়গাটা।বিশাল এক নদী আর দুরে কালো কালো বিশাল পাহাড়। আর কাছেই চা বাগান। দারুণ লাগলো। প্রশ্ন করতেই সে বলল সজল ভাই এটা খুব কাছেই। রাঙ্গুনিয়াতে তার থেকে ঠিকানা , টিপর্স সব নিয়ে রাখলাম। কিন্তু যাবো যাবো বলে যাওয়া হলোনা। কখন যেন ভুলেই গেলাম প্লেসটার কথা।একদিন সাফায়েত ভাই ফোন দিয়ে বলল সজল তুমি চুয়েটে যাবে ? রিদওয়ান নাকি ওখানে ভর্তি হবে। হটাৎ মাথায় খেলে গেল যে চুয়েট থেকে তো রাঙ্গুনীয়া খুব কাছে!! কোদালা চা বাগানে চলে যাওয়া যাবে। যেই ভাবা সেই কাজ।

১৩ মে, ২০১৪

ব্যাকপ্যাকিং নাকি ট্রাশপ্যাকিং ? (যা যা করা উচিৎ)

আমার একটা ব্যাকপ্যাকিং ট্রিপের ছবি।
ব্যাকপ্যাকিং কি ? :- আমার মতে ব্যাকপ্যাকিং হলো ঘুরাঘুরির একটা পক্রিয়া , যেটায় কম খরছে ঘুরাঘুরি আর স্বনির্ভর ভাবে ঘুরাঘুরি করা যায়।মুলত সবচেয়ে কমখরচে কিভাবে ঘুরা যায় একটা জায়গায় সেটা নিয়ে প্লান করে ঘুরাই হলো ব্যাকপ্যাকিং। যেখনে একজন ভ্রমণকারী তার সকল জিনিসপত্র এবং খাবার একটি ব্যাগে ভরে কাধে নিয়ে দির্ঘ সময় স্বনির্ভর ভাবে ঘুরে। এই হলো ব্যাকপ্যাকিং।

এখন উপরের শিরনাম দেখ অনেকেরই মাথায় আসতে পারে আমি এখানেময়লাপ্যাকিং বলে কি বুঝাত চেয়েছি।আপনি অবশ্যই জানেন ব্যাকপ্যাকিং কনসেপ্টটি বাংলাদেশে প্রায় নতুন। আরে আমি নিজেই এখন প্রতিদিন দুনিয়ার ক্যাম্পিং ছবি আর হাবি যাবি ছবি আপলোড করি আমার ফেসবুকে , হয়তো  শার্টের কলার তুলে বন্ধু মহলে বলি শোন আমি গত ৪দিন বান্দরবানের ওই চিপাই ছিলাম। বহু প্লেসে ক্যাম্প করলেও , ব্যাগে ভরে দুনিয়ার জিনিস নিয়ে ৪-৫ দিন বান্দরবান ঘুরে আসলেও।অল্প কিছু বছর আগে কলেজ লাইফেও আমি চিন্তা করিনাই আমি কোনদিন এভাবে ঘুরবো। সো যেটা বলতে চাচ্ছি সেটা হলো আমাদের মত ছোট্ট এ দেশে ব্যাকপ্যকিং আসছে বেশি দিন নই। আমার মত নতুনদের কাছে তাই আনেক কিছুই অজানা। যেটা আমি ধীরে ধীরে শিখছি,আমরা ধীরে ধীরে শিখছি।তাই ব্যাকপ্যাকিং এর ময়লাপ্যাকিং/ট্রাসপ্যাকিং সম্পর্কেও সবার জানা দরকার। এটাও নতুন আমাদের , কিন্তু দুটাই একটা অপরটার সাথে জড়িত।

ময়লাপ্যাকিং :- রাঙ্গামাটির একটা ট্যুরে আমি এক বড় ভাইয়ের সাথে শুভলং যাওয়ার প্লান করলাম। অনেক আগের ... ভ্রমণে আমি তখন একেবারে মোড়ক দিয়ে প্যাকেট করা মাল। রিজার্ভ বাজার এর একটু পরের খেলার মাঠের ঘাট থেকে নৌকা ছেড়ে দিচ্ছে , এমন সময় ওই বড় ভাইয়ের ভৈ দোড় পাশের একটা দোকানে।এদিকে নৌকা ছেড়ে দিল , আমি ভাবলাম ইমার্জেন্সি কিছু হইছে হয়তো থাক পরের নৌকায় যাবো। কিন্তু মাথার মেজাজ খারাপ হয়ে গেল যখন দেখলাম উনি বড় একটা পলিথিন কিনতে এরকম করলো। আরো খারাপ লাগলো যখন উনি পলিথিনটা আমার ব্যাগে ঢুকিয়ে দিয়ে বলল এটা রাখ বেটা কাজে দেবে আমি বললাম আমি ভাই বাসে বোমি করিনা আর এটাতো বিশাল একটা বোট। উনি মুচকি হাসলেন। বিরক্তি নিয়ে আমরা পরের বোটে শুভলং গেলাম। ঝর্ণায় গেলাম। গোসোল করলাম আর ১০টাকার পেকেট কেক খেয়ে খালি প্যাকেট আমি নিচে ফেলে দিলাম।দেখি ভাই আমার সেটা টুপ করে নিয়ে পকেটে ডুকিয়ে ফেল্ল।আমি তারাতারি অন্য কেকের প্যাকেটটা দেখলাম।নাহ প্যাকেটের গায়ে কোন ফ্রি অফার নেই।একটু অবাক হলাম।এরপর যখন আগের বোটের টুরিস্টরা ঝর্ণা ছেড়ে চলে গেল তখন ভাই দেখি ঝর্ণার আসপাশ থেকে বিভিন্ন প্যাকেট আর জিনিস পত্র কুড়াতে লাগলো। আমি ত বেটা করে কি!! টোকাইদের মত ময়লা কুড়াচ্ছে। আমাকে আবার ধমক দিয়ে কুড়াতে বলল। বড় ভাই ... তাই ভয়ে কুড়াতে লাগলাম। আশপাশের যারা ছিল সবাই অদ্ভুত চোখে তাকাতে লাগলো আমাদের দিকে। যখন কুড়ানো শেষ তখন ভাই কুড়িয়ে নেওয়া সব জন্জাল আমার কাছে দেওয়া পলিথনে ভরে ফেল্ল। আমি আর না থাকতে পেরে প্রশ্ন করলাম ইব্রাহিম ভাই ঘটনা কি? এসব পাগলামি কেন করতেছেন ? উনি তখন বললেন সজল ঝর্নাটা তোর কাছে এখন সুন্দর লাগতেছে না আগে সুন্দর লাগছিল। আমি দুর ভাই ঝর্ণা তো ঝর্নার মতই .... বলতে বলতে ঝর্ণার দিকে তাকিয়ে আমি ওই দিনে দ্বিতিয় বারের মত । কি যেন একটা পরবির্তণ হয়ে গেছে। ঝর্ণাটাকে আগের থেকে বেশি সুন্দর আর প্রাণবন্ত লাগছে।

প্রশ্ন নিয়ে যখন ইব্রাহিম ভাইর দিকে তাকালাম তখন উনি বলছিলেন এটা হলো ট্রাশপ্যাকিং।সত্য বলতে ট্রাশপ্যাকিং ব্যাপারটা তখনো আমি বুঝিনি , যদিও ভাই আমাকে ওই পুরা ট্যুরে ব্যাকপ্যাকিং আর ট্যাশপ্যাকিং সম্পর্কে বুঝালো। তবে আমি ব্যাপারটা খুব শিগ্রই বুঝছি।অসাধারণ কিছু মানুষের সাথে ঘুরে ঘুরে। বিভিন্ন ট্যুরে ফয়সাল ভাই , চন্দন ভাই , রুপাদির মত লোকজনের কান ঝালাপালা করা বক্তব্য শুনতে শুনতে আমি এডাপ্ট করলাম।জিনিসটার প্রয়োজন উপলব্দি করলাম।এখন আমি আমার গ্রুপের সবাইকে বকি ময়লা কালেক্ট করতে বলি। নিজে করি। এটায় হলো ট্রাশপ্যাকিং। 

১০ এপ্রি, ২০১৪

বান্দরবানে এদিক সেদিক ছুটা ছুটি আর ক্যাম্পিং।


প্রথমবার বান্দরবানের এ ট্রেইলে যেয়ে বিশেষ সুবিধা করতে পারিনি। তাই আবার যাওয়ার প্লান করলাম। তবে এবারের প্লানেও বাগ ছিল , কেউ কোন সামিট করুমনা এবং ঝর্ণায় গোসোল করুমনা একটা ভাব নিয়া রওনা দিসিলাম। এবারের দল হলো মামুন ভাই , হাসান ভাই , জুমন ভাই ,সৈকত ভাই আর রুপা দি।সাথে আরো যুক্ত হলো আমাদের বিদেশি বন্ধু স্লোভাকিয়ার নাগরকি ইয়ান কিরিকিস আর জাপানি মেয়ে এমেলি।সব প্লান হওয়ার পর আমরা একদিন হুট করে হারিয়ে গেলাম বান্দরবানে। ট্রিপটা অসাধারণ ছিল। যেখানে আমরা ভেবেছিলাম ফেব্রুয়ারির ঠান্ডায় ঝিরিতে বা খালে পানি থাকবেনা সেখানেও দেখলাম যথেষ্ট পানি। আর সারাদিন গরমে জিহব্বা বের করে পাহাড়ি কুকুরের মত পাহাড় বাওয়া সন্ধ্যায় যেখানে খুশি সেখানে তাবু খাটিয়ে আগুনে রান্না করে ঠান্ডায় কাঁপতে ঘুমানো স্লিপিং ব্যাগের ভেতরে। ভোরের ঠান্ডায় জমে যাওয়া ক্ছপের মত ধীর গতিতে নড়া চড়া করা। দিনে যেমন খুশি তেমন ভাবে লেটানো চিপায় চাপায় আর পাড়া বেড়ানো। শেষের দিন ঝড় তুফান , প্রচন্ড বৃষ্টি মাথায় করে চট্রগ্রাম ফেরত আসা। এক ট্রিপে মোটামুটি বাংলাদেশের সব আবহাওয়ার মজা নিতে নিতে ৪ দিন কোনদিকে বেরিয়ে গেল আমরা টেরই পেলামনা। পুরো ভ্রমন লগটি নিচে লিখার চেষ্টা করলাম। একটু বড় আর বিরক্তকর হয়তোবা,কিন্তু লগতো ... আশা করি ভালো লাগবে :-

২ মার্চ, ২০১৪

একা একা আপন বাড়ী।(পর্ব:- ক্যাম্পিং ইনসাইড আ ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট)


বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় ক্যাম্পিং করতেছি আজ অনেকদিন।তাবুতে থাকা,জংঙ্গলে রান্নাবান্না করে খাওয়া,তাবুর ভেতরে ঘুমের ভান করা।প্রথম প্রথম খুব উত্তেজনা লাগতো।ক্যাম্পিং এর আগের রাতের ঘুম হারাম হয়ে যেত,খালি ভাবতাম কখন সকাল হবে, গ্রুপের সাথে দেখা হবে।বাস ধরে হাইকিং করে ক্যাম্পসাইটে চলে যাবো। এ রান্না করবো , সেই রান্না করবো।সেরম একটা ক্যাম্পিং করবো।গ্রুপের সাথে ঘুরার মজাই আলাদা।সেফটি বেশি , কাজ কম। তেমনি একা একা ঘুরার মজাও আলাদা , সেফটি একটু কম আর মেলা কাজ ..

একা একা কিছু ট্রাভেলিং করলেও কখনো একা ক্যাম্পিং করা হয়নি।সাহস হয়নি হয়তো। সবসময় তো গ্রুপের সাথেই চলি।প্রথম তাবু কিনি অটো-পপআপ তাবু।চন্দন ভাইয়ের সহায়তায়।সেই সুদুর ঢাকা থেকে।সুদুর বলতেই হয়।যখন প্রথম তাবু কিনি তখন এখনকার মত এত সহজে তাবু বা ট্রাভেল গিয়ার পাওয়া যেতনা।বহুত কসরত করে একটা গিয়ার কিনতে হতো। এখনতো পিক৬৯ এর ওয়েব সাইটে ঢুকে ২-৪টা ক্লিক করলেই জিনিস ঘরে চলে আসে।

৩১ জানু, ২০১৪

রমজানে সীতাকুন্ডে ক্যাম্পিং।

রমজানের সময়। ইফতারের পর নামাজ পড়ে একটু লেটানোর সময়।ল্যাপটপ কোলে নিয়ে যেই ফেসবুকে টু মারলাম টুং করে একটা মেসেজ আসলো।দেখি রাব্বি ভাই,হাই হ্যালো কিচ্ছু না লিখে সোজা লিখছে “সজল ২৬-২৭ ফ্রি আছো?”সাথে সাথে ল্যাটপের ঘড়িতে একটা ক্লিক করে তারিখ গুলা দেখ নিলাম।হা শুক্র এবং শনি বার। বললাম “হা ফ্রি আছি কিন্তু কেন?” উনি এবার বললেন “ক্যাম্পিং করতে চাই চট্রগ্রামে। সীতাকুন্ড বা মীরসরাই।“ আমি বললাম আরে এখনতো রমজান মাস।এসময় কি ক্যাম্প করবেন। উনি বললেন “দুর ব্যাগ প্যাক করো। তোমার গিয়ার-টিয়ার নাও , কিচ্চু হবেনা রমজান হয়ছেতো কি হইছে? আর পপর্কণ আনবা কিনতু বেশি করে” উনি আমাকে একটা গ্রুপ মেসেজে ট্যাগ করে দিলেন। দেখি সেখানে বিশাল আয়োজন।কে কি নিবে,ফুড প্যাক কি ক্যারি করবে এসব আলোচনা হচ্ছে।মোটামুটি একটা মিটিং চলতেছে।শাহবাগের আড্ডাকে ওরা ফেসবুকের এক কোনাই নিয়ে আসছে।ডিম নিতে হবে শুনে কে যেন প্রশ্ন করলো “ভাই ডিম ব্যাগে করে ক্যাম্মে বহন করে ?" সে ভাইকে প্রশ্ন করলেও উত্তর দিল বোনে, আনিকা ডিটেইলর্স লিখে দিলো একটা ব্যাকপ্যাকিং ট্রিপে ডিম কেমনে ক্যারি করতে হয়। :-

২ জানু, ২০১৪

পূর্ণিমাতে পটিয়ায় ক্যাম্পিং।



জুমন ভাইর সাথে চ্যাট হচ্ছিল ফেসবুকে। হটাত সে একটা প্রস্তাব দিল চলেন সজল ভাই কোথাও একটা ক্যাম্পিং করি। আপনে আর আমি তো বেশ কদিন হলো আপনার লাল তাবুতে থাকিনাআমিও মত দিলাম। চলেন কোথাও যাই ... দু-চাইরডা মুরগী পোড়াই খেয়ে আসি আর তাবুর ভেতর থেকে চাঁদ দেখি। আমি , মামুন ভাই আর জুমন ভাই এই থ্রি ম্যাসকেটিয়ারের কোন ট্রিপ প্লান হলে সাধারণত প্লানার বা ম্যানাজার ক্যাম কুক আমিই থাকি। এ দুজন আমার উপর সকল দায়িত্ব দিয়ে নাক ডেকে ডেকে ট্রিপে ঘুমায় আর ফটো খিচে। কিন্তু এবার তা হতে দিলামনা। সব দায়িত্ব ছেড়ে দিয়া হলো জুমন ভাইর উপর। তো উনি প্লান করলেন আমারা মামুন ভাইর বাসায় ক্যাম্প করবো। উনার পটিয়াতে বাড়ী আছে। মামুন ভাইকে বলতেই উনিও এক পায়ে খাড়া ।

১৯ ডিসে, ২০১৩

ভারত ভ্রমণ। পর্ব:- আজমীরের ছোট ছোট পাহাড়ে।


আমি আমার ভারত ভ্রমণ নিয়ে অনেকদিন ধরে পর্ব পর্ব করে লিখে আসছি। প্রতিটি পোস্টের নিচে নোটে বিস্তারিত খরছ , হোটেল , খাওয়া-দাওয়া , গাড়ী ভাড়া ও অন্যান্য জিনিস লিখায় তুলে ধরার চেষ্টা করছি,যাতে পরে কেউ যেতে চাইলে আমার ব্লগ পোস্টটি সাহায্যে আসে আর সব প্লান করে যেতে পারে। আগের পর্বে কোলকাতা , দিল্লী , আগ্রা এবং জয়পুর নিয়ে লিখেছিলাম। এ পর্বে আজমীর নিয়ে লিখলাম।

০৪-১২-২০১২

সকালে ৯টার দিকে হোটেল থেকে চেক আউট করে জয়পুর সেন্ট্রাল বাস স্টেশানে এসে বসলাম। প্রতি ১৫ মিনিট পর পরই আজমীরের জন্য বাস ছাড়ে। তাই টিকিট কাটতে কোন ঝামেলা হলোনা। তারপরেও আমি একঘন্টা পরের বাসের টিকিট কাটলাম। তাড়াহুড়া আর ভালো লাগতেছিলনা। এই কতদিন তো ইন্ডিয়ার ভতেরে অনেক দৌড়াদুড়ি করলাম। তাই রিলাক্স ভাবে এ এক ঘন্টা আবার জয়পুরের এদিক সেদিক হাটতে লাগলাম।কয়েকটা সুপার মার্কেটে টু মারলাম এরপর সিনেমা হল গুলাতে টিকিট প্রাইজ কেমন তা দেখলাম। জয়পুর শহরটা খুব ভালো লাগে আমার , কেন কেই বা জানে ? শহরটা সুন্দর আর পরিস্কার। তাই হয়তো।

৩ ডিসে, ২০১৩

হেটে হেটে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার যাওয়া।


এই পোস্টের শিরনাম দেখে হয়তো অনেকে ভেবে বসেছেন,এই লোকগুলো এত গরিব বা কিপ্টা কেন ? !!।হেটে হেটে ৮০ কি:মি: রাস্তা পাড়ি দিয়ে টেকনাফ থেকে কক্সবাজার এসেছে!... ব্যাপারটা কিন্তু অন্য। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের বা বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা সমুদ্র সৈকতে হেটে বেড়ানো। ভ্রমণ বাংলাদেশ নামের একটা গ্রুপ প্রতি বছর এ ট্রিপ বা হাটা-হাটির আয়োজন করে। ইভেন্টের নাম হয় স্বপ্নের সৈকতে একে যায় পদচিহ্ন । টেকনাফ থেকে ট্রেকিং করে আমরা ৮০ কি:মি: দুরের কক্সবাজারে যাবো। পথে দুবার ক্যাম্পিং আর বারবিকিউ। প্রায় দুই বছর পর আমার সে ভ্রমণের গল্পটা লিখেই ফেল্লাম, পড়ে দেখতে পারেন :-

২০ নভে, ২০১৩

সীতাকুন্ডের চন্দ্রনাথ পাহাড়ে।

চন্দ্রনাথ পাহাড়ে আমি বহুবার উঠেছি। যখনি মন খারাপ হয়েছে বা সীতাকুন্ডে ফুফূর বাসায় ঘুরতে যায় ওই পাহাড়ে উঠে যায় । আমি চন্দ্রনাথে উঠে মন্দিরের পাশের একেবারে খাদ ঘেসে যে পাথরের রেলিং আছে সেটাই বসে থাকতে ভালোবাসি। ভিউটা অসাধারণ লাগে দুরে সমুদ্র দেখা যায় মাঝে শহরটা ।এটা বোধহয় পাহাড়কে ভালোবাসি তাই। কিন্তু বাংলাদেশের পাহাড়ের স্বর্গ হলো বান্দরবান, যেটা আমার বাসা থেকে ৮০ কি:মি দুর আর চন্দ্রনাথ হলো মাত্র ৩৫ কি:মি দুরে। তাই চন্দ্রনাথে দিনে গিয়ে দিনে চড়ে আসা যায় বলে এ পাহাড়টার সাথে আমার একটা বন্ধুত্ব হয়ে গেছে।

প্রথম এই পাহাড়টাই আমাকে নিয়ে যায় আমার এক বন্ধু। সনজয় কুমার নাম ওর। দারুন একটা ছেলে। আজ সেই গল্পটাই লিখতে বসলাম :-

১১ নভে, ২০১৩

রিসাং ঝর্ণা আর আলুটিলার পথে।



এই ইভেন্টটা ACC বা এডভেন্চার ক্লাব আব চিটাগাং এর প্রথম অফিসিয়াল ইভেন্ট ছিল। এর আগেও ACC অনেক ক্যাম্পিং এবং ভ্রমণ ইভেন্ট করলেও এটা ছিল তাদের বা আমাদের প্রথম অফিসিয়াল ভ্রমণ ইভেন্ট। তখন আমি এ গ্রুপটার সাথে খুব ভালো ভাবেই যুক্ত ছিলাম। আমাদের আড্ডা বসতো চট্রগ্রাম শপিং কমপ্লেক্স এর পেছনের একটা গলিতে। এই আড্ডার মধ্য মনি সবসময় থাকতো মো: জাফর বেগ ভাই। আর ১৫০ সি:সি মোটর বাইক নিয়ে সবসময় দেরি করে আসতো চন্দন ভাই। সেই আড্ডা খানায় লেবু দেওয়া রং চা খেতে খেতে একদিন হুট করেই প্লান হলো যে আমরা খাগড়াছড়ি যাবো। রিসাং ঝর্ণায় প্যান্ট ছিড়বো। আলুটিলার গুহায় হারিয়ে যাবো। :-