৮ মে, ২০১০

How To Open A DBBL Bank Account & Its Usefull and Unusefull Things




বর্তমান সময়ে একটি ব্যাংক একাউন্ট অত্যান্ত প্রয়োজন। আর সেটা যদি হয় প্রযুক্তি সিস্টেমে ব্যাংকিং?ডাচ বাংলা ব্যাংক এর সমাধান। আবার এটা ভাবা উচিত হবেনা যে আমি ডাচ বাংলার কোন কর্মকর্তা বা বিজ্ঞাপন বিভাগের লোক।আমি ডাচ বাংলার একজন একাউন্ট হোল্ডার বা কাস্টোমার মাত্র। এই পোস্টের মাধ্যমে আমি কিভাবে DBBL এ একাইন্ট খুলতে হয় তা বলবো। এবং এই ব্যাংকের সুবিধা আসুবিধা সমুহ তুলে ধরবো। আর আমার যেহেতু সেভিং(Dabit)একাউন্ট আমি সেটাই বুঝাবো।আর খরচা পাতি সম্পর্কে অবশ্যই বলবো।




সেভিং একউন্ট খুলতে প্রথমে আপনাকে আপনার কাছের ডাচ বাংলা ব্যাংক এর অফিসে যেতে হবে। এখানে বাংলাদেশের সব অফিস ও বুথের Address দেওয়া আছে। আপনি আপনার নিকটতম আফিসে যান। দুরের আফিস হতে একাউন্ট খুললে সময়ে অসময়ে কষ্ট হতে পারে আপনার। অফিসে যাবেন কিন্তু কাগজপত্র? হা কাগজপত্র যা লাগবে তা হলো :-
১/ ন্যাশনাল আইডি কার্ড। না থাকলে কমিশনার হতে সাইন কৃত সার্টিফিকেট,সার্টিফিকেটে আবশ্যই ছবি সংযুক্ত করতে হবে।এবং ছবিতে কমিশনার আফিসের স্টাম্পের ছীল দিতে হবে।
২/ বার্থ সার্টিফিকেট বা জন্মনিবন্ধনী যা আপনি ১৮+ প্রমান করবে।
৩/ আপনার নিজের ২ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং DBBL এ অলরেডি একাউন্ট আছে এমন     একজনের ১ কপি ছবি।
ব্যাস আর কিছু লাগবেনা। এবার ব্যাংকে গিয়ে হেল্পডেস্কে একাউন্ট খুলার কথা বলুন। ফর্ম নিন এবং কাগজ পত্র সহ জমাদিন। ফরম পুরনে সাবধান হউন। আর নইলে ব্যাংকের Relation Exucutive এর সাথে কথা বলুন উনি সানন্দে আপনার ফর্ম পুরণ হতে সব করে দেবে আপনার শুধু সাইন করতে হবে। কারণ প্রতি একাউন্ট খোরার জন্য বছর শেষে তারা ব্যাংক কতৃক কমিশন পায়। এর মধ্যে কাউকে আপনি টাকা দেবেন না। প্রসেসটা সম্পুণ ফ্রি। এরপর কম্পিউটারে আপনার একাউন্ট নম্বর আসা পর্যন্ত বসে থাকুন। নম্বর আসলে আপনাকে একটা Diposit বই দেবে। সেটায় আপনি কতটাকা জমাদেবেন তা উল্লেখ করে Diposit বুথে জমা দিন। আপনাকে কমে ১০০০/- টাকা আর সর্বচ্চ যত খুশি জমা দিতে হবে প্রথমে। নইলে একাউন্ট Activ হবেনা। এবার আফিসারকে প্রশ্ন করুন আপনাকে আর কিছু করতে হবে কিনা। না বললে আপনার কাগজ পত্রের মুল কপি ও ব্যাংক হতে দেওয়া ডিপসিট বই টা নিয়ে বের হয়ে আসুন। আপনার DBBL কার্ড আসতে ৭-৮ দিন এর মতো লাগবে। কার্ড আসলে আপনি যে ফোন নম্বর দিয়েছিলেন সেই ফোন নম্বরে ফোন করে জানিয়ে দেওয়া হবে। পিন কোর্ড মনে রেখে কাগজ টা ছিড়ে ফেলুন এবং যতদিন কার্ড বা চেক বই আসবেনা ততদিন আপনি টাকা তুলতে পারবেন না শুধু জমা দিতে পারবেন। এখানে একটা কথা...একাউন্ট খুলতে প্রথমে যে পরিমান টাকা জমা দিযেছেন তার পরিমান ১০০০/- হলে কার্ড আসবে কিন্তু চেক বই আসবে না। এর জন্য একাউন্টে মিনিমাম ৫০০০/- টাকা একবার থাকতে হবে। এবং চেক বইর পাতা উল্লেখ করে তারপর চেক বইর জন্য আবেদন করতে হবে। প্রথম বার কার্ড আসে Nexus Classic Dabit যা প্রতম বছর ফ্রি। এভাবে একাউন্ট খুলতে হবে।


ডাচবাংলার সুবিধা:-
১/ বুথ প্রচুর । যেমন আমার এখানে কর্নেলহাট হতে আলংকারেই ২টা বুথ।
২/ মেশিন ল্যাংগুয়েজ বাংলা ইংলিশ দুটোই।
৩/ বর্তমান কার্ড গুলো খুব সিকিউর।
৪/ কারেন্ট না থাকলেও মেশিন চলে।
৫/ মেশিনের মাধ্যমেই বিল পে,চেক বই রিকোয়েস্ট সহ নানা কিছু করা যায়্
৬/ একাউন্ট চেক,ব্যালেন্স ট্রানসফার-উইটড্র ফ্রি (শুধু রিসিট নিলে ৩টাকা চার্য প্রয়োয্য)
৭/ প্রথম বছর কার্ড সাবস্ক্রাইব ফ্রি।
৮/ ফ্রি SMS,Alert ব্যাংকিং।


ডাচবাংলার অসুবিধা:-
১/ নেটওয়ার্ক মাঝে মাঝে স্লো হয়।
২/ রিসিট নিলে ৩/- চার্য কাটে।
৩/ কাস্টোমার কেয়ার এত স্ট্রং না।
৮/ ভাংতি ১০০/- নোট থাকেনা মেশিনে।


ডাচ বাংলা ব্যাংকের ফি সমুহ।
১/ Saving Account এ বছরে ২০০/-
২/ কার্ড প্রথম বছর ফ্রি। ২য় বছর হতে ২০০/- চার্য প্রযোর্য।
      -------------------------এ হলো আবশ্যক এবং বছরের ফি।
৩\ টাকাউত্তোরন ফ্রি।
৪\ এসএমএস ব্যাংকিং ও এলার্ট ব্যাংকিং ফ্রি।
৫\ রিসিট নেওয়া ৩/- না নিলে ফ্রি।
৬\ ইন্টারনেট ব্যাংকিং ২০০/- বছরে। 
      ---------------------- এ ফি গুলো আপনি নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন।
        আজ এ পর্যন্ত। আগামিতে এসএমএস ব্যাংকিং এর উপর একটা ব্লগ লিখার ইচ্ছা আছে।

৭টি মন্তব্য: