৭ আগ, ২০১৩

ভারত ভ্রমণ । পর্ব :- দিল্লী ।

// আগের পর্বে কোলকাতা নিয়ে লিখেছিলাম। বিস্তারিত তথ্য সমেত কোলকাতার পর্বটি না পড়ে থাকলে এখানে Click করুন। ওই পর্বে ভিসা , বাংলাদেশ থেকে বাসের , ট্রেনের টিকিট , রুম ভাড়া সহ প্রায় সব তথ্যই পাবেন। এখন দিল্লি এর গল্পটি পড়ুন :-

২৯/১১/২০১২
---------------------------------------------------------------------------
এই চায় গরম , চায় চায় , এ পাপড় ... দুস শা** ঘুমটাই ভেংগে গেল। এমনিতেই ট্রেনর দুলনি তার উপর চা , বিস্কিট ওয়ালাদের এই চিল্লাচিল্লি। ইন্ডিয়ান রেইল থেকে দেওয়া কম্বল থেকে মাথাটা একটু বের করে চারদিকে তাকালাম। ট্রেন চলছেই। আল্লাহই যানে এখন কোই আছি। কেনাডিয়ান টুরিস্টটা দেখলাম কানের উপর বালিশটা দিয়ে ঘুমিয়ে আছে। আর পিচ্ছি হকারটা করুণ চোখে চায়ের ফ্লাক্সস নিয়ে তার সামনে দাড়িয়ে আছে। কখন সাদা চামড়ার বিদেশীটা উঠবে আর কিছু টাকা কামাবে। তার আমার বা ওই কম্পাটমেন্ট আর কেওর প্রতি আগ্রহ দেখলামনা। আমাদের চামড়ার রং দেখে মনে হয় সে ধরেই নিসে আমরা বাংগালী বাবু। তার থেকে কিছু কিনবোনা। আমি ক্যামেরাটা বের করে ক্লিক করে একটা ছবি তুললাম। খেয়ালই ছিলনা ফ্লাস আন। সবাই বিরক্ত চোখে তাকালো আমার দিকে।

ছবি :- ট্রেনর ভেতরে।

ব্যাগ থেকে টুথপেস্ট , ব্রাস আর সাবান বের করে ট্রেনের সাথে দুলতে দুলতে টয়লেটের দিকে এগুলাম। দেখি ৪টা টয়লেটরে ডোরেই “engaged” উঠে আছে। কিছুক্ষন দাড়িয়ে থাকার পরও কেউই বের হলোনা। তাই দরজায় বাড়ি দিয়ে বললাম “ ভাই বহার নিকলো যোরসে লাগিহে মুঝে ” দেখি ভেতর থেকে খুট খাট আওয়াজ। কোন ভাই বের হোলনা। একটা আন্টি মত মহিলা বের হয়ে অদ্ভুত চোখে আমার দিকে তাকাতে তাকতে চলে গেল। টয়লেট সেরে , ফ্রেস হয়ে চলে এলাম আমার সিটের দিকে। দেখি সবাই জেগে গেছে। নাস্তা দিতে রেলের লোক এলো। প্রশ্ন করলো “ ভেজ চাইয়ে আর ননভেজ ” ? আমি ননভেজের অর্ডারই দিলাম। নাস্তা সেরে ট্রেনের এমাথা ওমাথা হাটলাম। আসম্ভব সুন্দর সুন্দর প্লেসের পাশেদিয়ে দিয়ে আমরা খুবই দ্রত গতিতে যেতে লাগলাম। পাহাড় আর মেরু মত রাস্তা গুলোই আমার দৃষ্টি কাড়তেছিল।
ছবি :- ট্রেন থেকে পাহাড় ।
একসময় দিল্লির ভেতরে ডুকলাম। শহরের বাহির দিয়ে ধীরে ধীরে আমার ডুকতে লাগলাম। একসময় লাল কিল্লার একেবারে পাশ দিয়ে ওল্ড দিল্লি তে ট্রেন ঢুকলো। ২৩ ঘন্টার লম্বা একটা ট্রেন ভ্রমন শেষ হলো।
ছবি :- এই সেই দুরন্ত এক্সপ্রেস ট্রেন। কালারফুল।
ওল্ড দিল্লি স্টেশন থেকে আমি সোজা “চাদনি চক” গেলাম। হেটে হেটেই যাওয়া যায়। ব্যাগ গুলাই একটু সমস্যা করতেছে। টেন্ট , স্লিপিং ব্যাগ এর ওজনটাই বেশি। কারো থেকে ডিরকেশন নিতে হলোনা। আগেও এ পথে অনেকবার হেটেছি। আর সাথে জিপিএস সুবিধা সহ মোবাইল ফোনতো আছেই। চাদনি চক প্লেসটা খুব সুন্দর । রাস্তা গুলো সবসময় জমজমাট। কিন্তু হোটেল পেলামনা। যাও আছে ভাড়া বেশি। আমার যে একটা দৈনিক বাজেট আছে। ওটা অতিক্রম করা সম্ভবনা। হটাৎ খেয়াল করলাম আমি চাদনি চক মেট্রোস্টেশন এর সামনে দাড়িয়ে আছি। হটাৎ একট আইডিয়া এলো। ভেতরে ঢুকলাম , যদিও আমার সাথে একটা স্মার্ট ফোন আছে কিন্তু ওটাই সিম নাই অর্থাৎ নেটও নাই। তাই ভেতরে ঢুকে প্রথমে মেট্রো ট্রেনের রুট প্লানটায় চোখ বুলিয়ে নিলাম। তারপর কাউন্টার থেকে চাউরী বাজার এর স্টেশান এর জন্য একটা টিকিট/কয়েন নিলাম। দেয়ালে লাগানো ম্যাপ দেখে নিদৃষ্ট প্লাটফর্মের জন্য আরো আন্ডার গ্রাউন্ডের দিকে হাটা দিলাম। বলে রাখা ভালো আমি অলরেডি মাটির ৪০-৫০ ফিট নিচে। গেট পার হতে হলে কয়েনটা স্কেনারের উপর রেখেদিলে গেট খুলে যাবে। কয়েনটা আবার নিয়ে নিতে হবে। কারণ অন্য স্টেশানে যখন যাবেন তখন ওটা বক্স এ ফেলে দিতে হবে নইলে গেট খুলবেনা।
ছবি:- মেট্রো ট্রেনে চড়ার জন্য আপনাকে এরকম মাটির পেটে ঢুকে যেতে হবে।
চাউরি বাজার আসতে লাগলো মাত্র ১ মিনিট। ১.৫ কি:মি রাস্তা । চাইলে হেটেও আসতে পারতাম। কিন্তু ব্যাগ – বুগের জন্য মেটো ব্যাবহার করলাম। মজাও লাগলো। মেট্রোতে চড়লে নিজেকে বিদেশে আছি আছি মনে হয়। রিক্সায় ২০ রুপি নিত। মেট্রোতে মাত্র ৫ রুপি লাগরো। চাওরি বাজার থেকে সোজা জুমা মসজিদ এরিয়াতে চলে আসলাম। দিল্লি – ৬ এ ( ছবিতে যেরকম দেখছি তার থেকেও সুন্দর এরিয়াটা) । প্রথম হোটেলে বললো RC নেই ( রেসিডেন্সিয়াল সারটিফিকেট মেবি )। ইন্ডিয়ান ছাড়া রুম দিতে পারবেনা। পরে গলির মোটর মার্কেটের উপরে হোটেল সান এ দেখলাম। ৩৫০ রুপি দিয়ে একটা রুম নিলাম। প্লাস পাসপোর্ট এর RC এর জন্য ৫০ রুপি নিল। রুমে ঢুকেই দপাস করে বিছানাই পড়লাম। প্রচন্ড় ক্লান্ত। একটু পরে ফ্রেস হয়ে জানালা খুলেই আমি অবাক। পুরা দিল্লি ৬ , জামে মসজিদ সব আমার রুম থেকে ক্লিয়ার দেখা যাচ্ছে।
ছবি :- দিল্লি ৬ এর মোটর মার্কেট আর জামে মসজিদ এর একাংশ।
 রুমের জানালা থেকে তোলা। জানালাটা খুবই মজা দিচ্ছিল। একটা লাইভ টিভি যেন। আচেনা একটা শহর আর তার লোকজন এর কাজ কারবার দেখতে লাগলাম। আর জামে মসজিদ তো আছেই।
 
ছবি :- জামে মসজিদ । হোটেল রুমের জানালা থেকে।

পৃথিবী যেদিকে যাক । আপনি যত ব্যাস্তই থাকুন খিদা তার অবস্থান জানান দিবেই।  জিপিএস এর মত। তারাতারি কিছু টাকা , ক্যামেরা আর পাসপোর্ট নিয়ে বের হয়ে গেলাম ফুড সাফারি করতে। আলুর চপ খেলাম। চিকেন দিয়ে বানানো কি এক ধরণনের বল খেলাম। লম্বা লম্বা চাইল এর বিরিয়ানি খেলাম যার প্লেট মাত্র ২০ রুপি। স্ট্রিট ফুড দিয়ে পেট পুরা ভরতি করে ফেল্লাম।
এবার পেট ঠান্ডা। এখন ঘুরাঘুরি করতে পারি।
ছবি:- দিল্লি ৬ পুলিস স্টেশান।


প্রথমেই গেলাম জামে মসজিদে। পুরান কিন্তু বিশাল একটা মসজিদ। শুধুমাত্র ঢুকার জন্য আছে তিনটি গেট। আর মসজিদের মাঝখানেই আছে একট বিশাল মাঠের মত নামাজ পড়ার স্থান। যেটা নামজের সময় ছাড়া অন্য সময় টুরিস্ট আর জালালী কবুতরে ভর্তি থাকে।
ছবি :- কবুতর আর টুরিস্ট এ ভরতি জামে মসজিদ।
ছবি :- এই ছবির কিছুক্ষন আগেই আজান দিল। পরিবেশ আর শব্দ দুটোই কেমন যেন ..
সন্ধ্যা হয়ে আসছে। তাই জামে মসজিদ থেকে নেমে ২ রং গেট দিয়ে বের হয়ে লাল কিল্লার দিকে হাটা দিলাম। জামে মসজিদ থেকে লালকিল্লা দেখোও যায়। দুরত্ব মাত্র ৫ মিনিটের রাস্তা। তবে যে রাস্তা দিয়ে এলাম সেটাই চিকেন রোস্ট , গোটা খাসি রোস্ট এর দোকান এ ভরা। গন্ধে পুরা এরিয়া ম ম করছে। মুখে লেলা জমার আগেই লালকিল্লাই চলে এলাম। আফসোস লাল কিল্লাই এন্ট্রি সে দিনের মত অফ হয়ে গেছে। তাই বাইরে থেকে যা দেখলাম।

ছবি:- লাল কিল্লার সামনে টিকিট কাউন্টারের পাশে।


ছবি:- এই অত্যান্ত বিশাল দুর্গের সামনে আমি আর ফ্লাড লাইট।

রাত হয়ে এলো। তাই হেটে হেটে হোটেল এর রাস্তা ধরলাম। একা একা অজানা একটা শহরের রাস্তায়। মজাই আলাদা। কেমন কেমন একটা ফিলিংস। জীবনটা আসোলেই খারাপনা।
ছবি:- স্ট্রিট লাইট , পুরান দিল্লি শহর আর আমি।


ছবি:- উপরের ছবির সাথে এটা মিলিয়ে দেখুন। দিনের ব্যাস্ত রাস্তাটা এখন ঘুমন্ত।
যাই আমিও ঘুমাইতে।
[নোট:- ইন্ডিয়ায় ট্রেন ভ্রমন অত্যান্ত আরাম দায়ক এবং সুবিধা জনক। সেটা মেট্রো ট্রেন হোক আর এমনি ডিসট্রিক ট্রেন। ভাড়া , রুট প্লান সবই সহজ। কোলকাতা থেকে ভাড়া জানতে আগের কোলকাতার পোস্টটা পড়ুন। দুরন্ত এক্সপ্রেস / রাজধানী এক্সপ্রেসের মত ট্রেনে উঠলে ব্যাগ সিটে রেখে এদিক সেদিক যেতে পারেন। সেফ। ওই ট্রনে বাইরের মানুষ উঠতে দেয়না। কোলকাতার মেট্রো ট্রেনের ব্যাপারটা প্রথমে ঝামেলা লাগলেও যখন বুঝে যাবেন মজাই লাগবে। রুটের / প্লাটফর্মের হেল্পের জন্য প্রতিটি স্টেশনে বোর্ডে ম্যাপ সহ টাংগানো থাকে। দেখে নিন। টিকিট ৫ রপি থেকে শুরু করে ৩০ রুপি পর্যন্ত আছে দুরত্ব অনুযায়ী। ওল্ড দিল্লিতে হোটেল নেওয়াই ভাল। ভাড়া কম আর আরসি ঝামেলা নেই। ওল্ড দিল্লিতে আপনি ট্রেডিশনাল , চাউল(ভাত) , সবধরণের খাবরই পাবেন। পুরা যেন পুরান ঢাকা। :D । জামে মসজিদে ঢুকতে কোন টিকিট লাগেনা কন্তু মসজিদ এর উচু টাওয়ারে উঠতে ১৫ রুপি লাগে। উচ্চতা আর চিপা টানেলে ভয় থাকলে উঠার দরকার নেই ]


৩০/১১/২০১২

সকালে ঘুম ভাংলো আজানের শব্দে। এত্ত কাছে একটা মসজিদ। শব্দ তো সেরকম হবেই। প্রথমে চাউরি বাজারে গেলাম।

ছবি :- এই আমার সকালের নাস্তা। ১০ রুপি। মাংস ও ছিল ভেতরে।
নাস্তা সেরে , মেট্রোট্রেন করে চট্রগ্রাম থকে নিয়ে আসা এড্রেস দেখে দেখে কয়েকটা ক্যাম্পিং/হাইকিং/ট্র্‌ভেলিং গিয়ার শপে টু মারলাম। কিছু কম্পাস কিনলাম মাত্র ৩৫ রুপি করে , কিছু হেডল্যাম্প কিনলাম মাত্র ৮০ রুপি করে। আরো অনেক গিয়ার কিনে হোটেল এ রেখে সাইট সিইং করতে বের হলাম। প্রথমে একটি ক্যাব দেখলাম পুরা দিনের জন্য। ভাড়া অতিরিক্ত চাইলো। শেষমেশ একটা রিক্সা নিলাম। লোহার অদ্ভুত একটা রিক্সা। প্রথমে গেলাম একটা শিব মন্দির দেখতে। অনেক শিক ভক্ত কে দেখলাম। ছবি তুলা নিষেধ তাই ছবি তুলতে পরলামনা। এরপর আবার লাল কিল্লা গেলাম। টিকিট বিদেশী টুরিস্ট ১৫০ রুপি , অডিও গাইড ১৫০ রুপি। কিন্তু আমি ইন্ডিয়ানদের টিকিটই কিনলাম। মাত্র ২৫ রুপি দিয়ে। লাল কিল্লা বিশাল একটা প্লেস। ভেতরে দুটা মসজিদ। আর্মিদের থাকার বিল্ডিং আছে ৪-৫ টি। ৩টা মিউজিয়াম , একটা পার্কের মত প্লেস আছে যেখানে সন্ধার পর আলাদা অনুষ্ঠান হয়। মিউজিয়াম এর টিকিট এর টাকা এন্ট্রি টিকিট এর ভতেরেই অন্তরভুক্ত । কিন্তু প্রোগ্রামের টিকিট আলাদা কাটতে হবে।

ছবি:- সন্যরা দুর্গের এ স্থানে উঠে অবস্থান নিত।

ছবি:- কারুকাজ দেখা যাবে ফোর্টের দেয়ালে দেয়ালে।
রেড ফোর্ট দেখে বাইরে এসে একটা হলুদ আটো নিলাম টুরিস্ট সাইটে ঘুরার জন্য। ( দিল্লিতে প্রচুর টুরিস্ট বাস পাওয়া যায় যারা সকাল থেকে রাত পর্যন্ত আপনাকে পুরা দিল্লি ঘুরাবে। এ বেপারে বিস্তারিত পোস্টের নিচে নোট এ লিখলাম ) আটোর ড্রাইভারের সাথে সাইট লিস্ট আর টাকা (৬০০ রুপি ) নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে তারপর সব ঠিক করলাম। পোস্টটা অতিরিক্ত বড় হয়ে যাচ্ছে তাই আর অল্প কিছু ছবি আর নোট দিয়ে শেষ করে দিচ্ছি। শুরু হলো সাইট ঘুরা।

প্রথমেই গেলাম কুতুব কম্প্লেক্স-এ । বিশাল একটা প্লেস। আনেক মিনার , সমাধী , বাগান সহ বিরট এরিয়া।

ছবি :- এই সেই কুতুব মিনার। আফসোস এর উপরেউঠতে দিলনা। এখন উঠা বন্ধ।

ছবি :- কুতুব কম্প্লেক্স এর দেয়ালে দেয়ালে আরবী লিখা।

ছবি :- এরকম এলির পর এলি। যেনো পুরোনো যুগে ঢুকে পড়েছি।
ছবি :- সবকিছুই এখন ধবংসের পথে।
এরপর এই সমাধীটা দেখতে গেলাম। আটো আলাকে বললাম সমাধী দেখার কোন ইচ্ছানেই , তারপরেও বেটা নিল। একটা সমাধীর পেছনে এত খরছ করলো ওদের সরকার!! কত্ত বড় এরিয়া শুধু এই একজনের কবরের জন্য।

ছবি :- সমাধী।
এরপর ইন্ডিয়া গেট এবং রাজপাত। মানুষে ভরতি প্লেসটা। অন্যান্য প্লেস গুলাই বেশির ভাগ বাইরের টুরিস্ট হলোও এইখানে বেশিরভাগ ইন্ডিয়ান। ঢাকার শাহবাগের মত।

ছবি:- ইন্ডিয়া গেট। আর গেটওয়ে আব ইন্ডিয়া।


ছবি:- রাজপাথের পাশে।
এরপর গেলাম লোটাস টেমপল। এটা এমন একটা প্রার্থনার ঘর যেখানে হিন্দু , মুসলিম , বদ্ধ , খ্রিস্টান সবাই এক সাথে প্রার্থণা করে। একধরণের শান্তি শান্তি ভাব আছে প্লেসটার।

ছবি:- লোটাস টেম্পল। এই পদ্ম ফুলের ভেতরেই প্রার্থনা ঘর একসাথে ৩০০ মানুষের।
      এরপর রাষ্টপতি ভবন। যেটা নিয়ে ডিসকভারি চ্যানেল সাম্রতিক একটা ফিচার দেখাচ্ছে।

ছবি:- রাস্ট্রপতি ভবনের ক্ষুদ্র একাংশ।
কাল ভোরে উঠে আগ্রার জন্য রওনা দেব। সে গল্প পড়তে এখানে ক্লিক করুন।
 
[নোট :- হোটেলে সব রেখেই তারপর ঘুরতে বের হোন। কারন বেশিরভাগ প্লেসেই ব্যাগ নিয়ে ঢুকতে দেওয়া হয়না। এবং অনেক প্লেসেই ক্যামেরাও নিষেধ। অবশ্য কিছু প্লেসে ক্যামেরা ফি দিলে দেয়। আপনি চাইলে দিল্লি ঘুরার জন্য ডেট্যুর বাস নিতে পারেন। বাসে একজন গাইড সমেত আপনাকে ঘুরিয়ে সব দেখাবে। সকাল ৯টার মধ্যেই বাস ছাড়ে। অফ সিজনে বাসের টিকিট সকালেই কাটতে পারেন। কিন্তু রাতে কেটে রাখাই ভালো। প্রতিটি মোড়ে মোড়ে টিকিট কাউন্টার পাবেন। রাজধানী ট্যুরস এর বাস গুলো ভালো। দিল্লি ট্যুরের বাস পেয়ে যাবেন ১২০-১৫০ রুপির মধ্যে সকাল নটায় আপনাকে হোটেল এর সামনে থেকে নিয়ে পুরা দিল্লী ঘুরিয়ে আবার রাতের ৮-৯টার মধ্যেই হোটেল নামিয়ে দেবে। সাথে এন্ড্রয়েট সিস্টেমের হেন্ডসেট থাকলে ভাল। এপর্স মার্কেট থেকে লুকাসন প্রো সফটওয়্যারটি নামিয়ে নিয়ে ভারতের পরো ম্যাপ (৫০ এমবি ) ডাউনলোড করতে পারেন। সিম না কিনেই অফলাইনে ম্যাপ ব্যাবহার করতে পারেবেন। আমি টুরিস্ট বাসে ঘুরা পছন্ধ করিনা কারণ ওরা একটা প্লেস দেখার জন্য নিদৃষ্ট টাইম বেধে দেয়। আর কিছু অহেতুক দোকানে আপনাকে নিয়ে যাবে যেখানে সবকিছুর দাম ডাবল ]

বিস্তারিত ছবির জন্য এখানে Click করুন। আর এর পরের পর্ব "আগ্রার" গল্পটি পড়তে এখানে Click করুন।
আগের পর্বে কোলকাতা নিয়ে লিখেছিলাম। বিস্তারিত তথ্য সমেত কোলকাতার পর্বটি না পড়ে থাকলে এখানে Click করুন।

২১টি মন্তব্য:

  1. আপনার আগের লেখাতেও কমেন্ট করেছিলাম আপনার লেখায় সাবলীলতা আছে।কলকাতা ভ্রমন নিয়ে আমার আগের কমেন্ট টা এখানেও প্রযোজ্য। তবে ভ্রমন কাহিনী যদি মেট্রো রেলের গতিতে চলে অধিকাংশ পাঠক রেলগাড়িটা মিস করবে।ভবিস্স্যতে লেখায় ঘটনা প্রবাহে আর একটু ধীর গতি আশা করি।আমরা পাঠক সমাজ তো শুধু আপনার লেখাই পড়ি না কল্পনায় আপনার সহযাত্রীও হয়ে যাই...
    পরবর্তী লেখার অপেক্ষায় থাকলাম।..... Dr. Imrul Hasan Warsi

    উত্তরমুছুন
  2. কোলকাতায় ও দিল্লীতে বেশ কয়েকবার গিয়েছি। পুরোনো স্মৃতি মনে পড়লো। আরসি নাকি আইডি'র ঝামেলায় আমিও পড়েছিলাম। আপনার লেখায় একটা সাবলীল আত্মবিশ্বাসী ভাব আছে, বিদেশ ঘুরতে গেলে যেটা খুব প্রয়োজন।

    ভ্রমণের উপর আরো লেখা চাই। ধন্যবাদ।

    উত্তরমুছুন
  3. রিপ্লের জন্য ধন্যবাদ। আরো লিখবো । ইনসোআল্লাহ।

    উত্তরমুছুন
  4. আপনার লেখা পড়ে খুব ভাল লাগল, চমৎকার ভাবে আপনি ব্লগে আপনার পুরো ভ্রমণ ফুটিয়ে তুলেছেন, মনে হল আমি ও আপনার সাথে সাথে দিল্লী ঘুরলাম, আমি ও ভ্রমণের প্রতি খুবি উৎসাহী, আমি ডিসেম্বর এ ইন্ডিয়া যাব, আপনার হোটেল রেফেরেন্স অনেক সাহায্য করবে । আমার ও ব্লগ আছে যেখানে আমি ভ্রমণ বিষয়ে লিখি, আপনার মতামত পেলে খুশি হব ।

    http://www.mynextjourney.net

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. আপনার ব্লগটাতো অসাধারণ। ধন্যবাদ শেয়াররে জন্য।

      মুছুন
    2. ধন্যবাদ ভাই । আশা করছি, আপনার সাথে কোন একদিন কোথাও ঘুরাঘুরি করার সৌভাগ্য হবে । :)

      মুছুন
    3. সেটা আমার সৈভাগ্য হবে , আপনার মত কেউর সাথে ঘুরতে পারলে। :D

      মুছুন
  5. ভাই লেখক এর সাথে কিভাবে যোগাযোগ করতে পারব? আমি ৬ মাসের জন্য দিল্লি যাচ্ছি একটা বৃত্তি নিয়ে। কিন্তু কেম্নে কি করবো বুজতেসিনা। যাবো কিভাবে, এইসব তথ্যর জন্য লেখকের সাথে কথা বলতে পারলে ভালো হতো। উনার ফোন নাম্বার অথবা ইমেইল হলেও হবে।
    mannan
    mam13113g@gmail.com
    01675083216
    uttara,dhaka

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. লেখক হাজির। আপনি কি জানতে চান বলুন ? ঢাকা থেকে বাসে কোলকাতা যাবেন। তারপর ট্রেনে দিল্লী । ঢাকা থেকে কোলকাতা বাই এয়ারেও যেতে পারেন। আমার আগের লিখাটা পড়লে তার নোটের মধ্যে কিভাবে টিকিট কাটতে হয় জানতে পারবেন। আগের লিখাটির লিংক :- http://afnaninfo.blogspot.com/2013/08/blog-post.html ... আর কিছু জানতে চাইলে মেইল করতে পারেন Sajaldiit@gmail.com এ। ধন্যবাদ।

      মুছুন
  6. ভাই লেখক এর সাথে কিভাবে যোগাযোগ করতে পারব? আমি ৬ মাসের জন্য দিল্লি যাচ্ছি একটা বৃত্তি নিয়ে। কিন্তু কেম্নে কি করবো বুজতেসিনা। যাবো কিভাবে, এইসব তথ্যর জন্য লেখকের সাথে কথা বলতে পারলে ভালো হতো। উনার ফোন নাম্বার অথবা ইমেইল হলেও হবে।
    mannan
    mam13113g@gmail.com
    01675083216
    uttara,dhaka

    উত্তরমুছুন
    উত্তরগুলি
    1. লেখক হাজির। আপনি কি জানতে চান বলুন ? ঢাকা থেকে বাসে কোলকাতা যাবেন। তারপর ট্রেনে দিল্লী । ঢাকা থেকে কোলকাতা বাই এয়ারেও যেতে পারেন। আমার আগের লিখাটা পড়লে তার নোটের মধ্যে কিভাবে টিকিট কাটতে হয় জানতে পারবেন। আগের লিখাটির লিংক :- http://afnaninfo.blogspot.com/2013/08/blog-post.html ... আর কিছু জানতে চাইলে মেইল করতে পারেন Sajaldiit@gmail.com এ। ধন্যবাদ।

      মুছুন
    2. ভাই ফেসবুকে মেসেজ দিছি, রিপ্লাই দিয়েন :)

      মুছুন
  7. দিল্লি'র প্রচুর মজাদার জায়গা আপনি মিস করেছেন। প্রথমতঃ আপনি দিল্লি'র বিখ্যাত 'পরাঠেওয়ালি গল্লি' বা 'কাবাব গল্লি'-তে পা রাখেননি। দ্বিতীয়তঃ বাঙালি অধ্যুষিত CR Park দ্যাখেননি। তৃতীয়তঃ দিল্লি-তে প্রচুর 'আফগানি' বা 'সিন্ধি' আছে। এদের সঙ্গে দেখা হওয়া একটা অদ্ভুত মজার অভিজ্ঞতা। এরকম আরও আচে।
    পরের বার ভারতে এলে আমায় জানাবেন। চেষ্টা করব সাহায্যের, সাধ্যমত।

    উত্তরমুছুন
  8. যাবো কিভাবে?
    http://sd510.blogspot.in/

    উত্তরমুছুন