১৬/০১/২০১৪
-------------------
শীতের
সকাল,যদিও এখন প্রায় ৯টা তবুও চারদিকে কেমন যেন অন্ধকার অন্ধকার।আর ঠান্ডা।হাতের
তালু ঘষে গরম করতে করতে জিইসিতে যখন পৌছলাম , দেখি রিদওয়ান ভাই দাড়িয়ে আছে আমাদের
জন্য। তাড়া তাড়ি একটা বাসে উঠে পড়লাম।শীতের সকাল গুলো আরামদায়ক হয়। ঠান্ডা ঠান্ডা
একটা কেমন যেন। বাসে রিদওয়ান ভাইর কেনা নতুন মোবাইলটা টার্চ করতে করতে কখন যে আমরা
“কাপ্তাই রাস্তার মাথা” চলে আসলাম বুঝতেই পেলামনা।
সেখান থেকে লোকাল / শেয়ারর্ড সিএজি নিয়ে সোজা “চুয়েট”। চুয়েটে ঢুকেই মনটা ভাল হয়ে যায়।পরিবেশটা
ভাল .. গাছপালা আর অনেক পাখি এখনো। আর চারদিকে কত কত সুন্দর সুন্দর স্টুডেন্ট।
রিদওয়ান ভাইকে আমি আর সাফায়েত পঁচাতে লাগলাম যে “বুজি বুজি কেন এত্ত ইউনিভার্সিটি থাকতে
চুয়েট ? এখানে সুন্দর সুন্দর তরুণীতে ভর্তি তাই না ?”
যা
হোক রিদওয়ান ভাই তার কাগজ পত্রের কাজ কর্ম সারতে লাগলো আর আমরা চারদিকে ঘুরে দেখতে
লাগলাম। সুন্দরীরা বসে আছে কোথাও গাছের নিচে , কেউ বা পিলারে পা ঝুলিয়ে। তবে বেশির
ভাগই সঙ্গী সমেত। বুঝায় যায় চুয়েট “ডেটিং” এর জন্য ভাল একটা প্লেস। আর আমাদের কেউ
প্রশ্ন করলেই আমরা রিদওয়ান ভাইকে দেখিয়ে দিয়ে বলি যে আমরা তার অভিভাবক আর তাকে
ভর্তি করাতে এসেছি :পি। মজায় হচ্ছিল। আমরা যখন লোকজনকে প্রশ্ন করতেছিলাম যে
আর্কিটেকচার এর বিল্ডিংটা কোনটা সবাই বলতে লাগলো ১১ তলা বিল্ডিংটা হলো
আর্কিটেকচারের বিল্ডিং। আমরা হা করে বিল্ডিং গুলো দেখতে দেখতে চললাম , ২ তলা ৩ তলা
অনেক বিল্ডিং পড়লো পথে কিন্তু ১১ তলাতো আর কম না । দেখলেই চিনে ফেলবো। কিন্তু যখন
১১ তলা বিল্ডিং খুজে না পেয়ে একজন কে প্রশ্ন করলাম যে ভাই ১১ তলা বিল্ডিং টা কোন
দিকে সে সামনের ৩-৪ তলা একটা বিল্ডিং দেখিয়ে দিয়ে বলল এটা ১১ তলা বিল্ডিং। আমরা থ
.. পরে বুঝলা বিল্ডিংটা মাত্র ৩-৪ তলা হয়েছে। কিস্তু ফাউন্ডেশন ১১ তলা। বাকি গুলো
মনে হয় রিদওয়ান ভাইদের মত নতুন ইন্জিনিয়ারদের জন্য রেখে দিছে।
ছবি:- আর্কিটেকচারের ছেলে পুলেরা এখানে কিছু একটা বানাচ্ছে। |
ছবি:-
ফেরি।
|
ছবি:- নদীতে বোট বাধা। (ক্রেডিট:- রাশিক হাফিজ) |
ছবি:- গ্রামের ভেতর দিয়ে সুন্দর একটা রাস্তা। |
এরপর
আমরা হেটে হেটে চা বাগানে ঢুকে পড়লাম প্রথম গার্ড পোস্ট কে পাশ কাটিয়ে। সুন্দর
একটা রাস্তা। হাতের বাম পাশে মাত্র কয়েক ফুট দুরে টিলার উপর চা বাগান আর ডান পাশে
ফসলের জমি। যেখানে সবুজের চাদর দুর পর্যন্ত বিস্তৃত।
ছবি:- হাতের বামে চা বাগান। |
ছবি:- আর ডানে এরকম ধানের ক্ষেত। |
ছবি:- টিলা বা পাহাড়ের চাবাগানের ভেতর দিয়ে রাস্তা। |
ছবি:- বাগানের টিলা। |
ছবি:- বাগানের গাছে পানি দেওয়া হচ্ছে। |
ছবি:- যত্ন নিয়ে বেড়া উঠা বাগান। |
ছবি:- বিশাল গাছটার একাংশ। |
ছবি:- চা বাগানের সবচেয়ে কাছের গ্রাম। |
ছবি:- বাগানের ভেতরের রাস্তা। |
ছবি:- মাটির ঘর। |
ছবি:- রাবার গাছের রস দিয়ে রবার তৈরি হচ্ছে। |
ছবি:- শুকোতে দেওয়া রবার। |
ছবি:-
ডিঙ্গি নৈাকায় নদী পারাপার।
|
ছবি:- সুর্য ডুবছে। |
[
নোট:- সুন্দর এ বাগানে যাওয়া একদম সোজা। চট্রগ্রাম নগরীর জিইসি মোড় থেকে বাসে করে
কাপ্তাই রাস্তার মাথায় আসবেন। ৮-১০ টাকা নেবে। এরপর কাপ্তায় রাস্তার মাথা থেকে
সিএজি (শেয়ারর্ড) নিয়ে লিচু বাগান। ৫০-৬০ টাকা জন প্রতি। বাসে ৩৮ টাকা। পথে চুয়েট
ক্যাম্পাস ঘুরে দেখতে পারেন। লিচু বাগান থেকে সামান্য হেটেই ফেরি ঘাট। বোট নিয়ে
যাবে আপনাকে কোদালা চা বাগান যাওয়ার ঘাটে। মাত্র ১০ টাকা নেবে। এরপর শুধুই হাটা।
যখন আপনি চা বাগান থেকে বের হয়ে অন্য পাশের ঘাটে আসবেন আবার সেই বোট দিয়ে নদী পার।
৫ টাকা নেবে। শুধু এপার থেকে ও পার। এরপর একটু হেটে বাজারে এসে সিএনজি (শেয়ার্ড)
নিয়ে চমুহনি বাজারে আসবেন। ১০ টাকা জন প্রতি। এরপর বাসে জিইসি বা মার্কেট। ৪০-৪৫
টাকা নেবে। ]
আমার
অন্যান্য লিখা:- ১/ভারত ভ্রমণ। পর্ব - কোলকাতা ২/ ভারত ভ্রমণ । পর্ব :- দিল্লী ।
৩/ সেন্টমার্টিন দ্বীপে তাবুবাস। ৪/ বান্দরবানে এদিক সেদিক ছুটা ছুটি আর ক্যাম্পিং। ৫/ক্যাম্পারভ্যানে নিজের দেশ ঘুরা দেখা।
oshadharon
উত্তরমুছুনধন্যবাদ।
মুছুনবাগানে ঢুকতে কি অনুমতি প্রয়োজন হয়???
উত্তরমুছুননা হয় না। শীত কালে আসলে অনেক মজা।আমার বাড়ি রাঙ্গুনিয়া। ঐ খানে আমার নানুর বাড়ি।
মুছুনbesh valo lgese...inspirational
উত্তরমুছুনধন্যবাদ।
মুছুনভাই এডমিন/ভ্লগার।
উত্তরমুছুনআপনি কোন জায়গার মানুষ জানি না। আমাদের রাঙ্গুনিয়ার দৃশ্য শেয়ার করার জন্য আমি আমিরা রাঙ্গুনিয়া বাসিের পক্ষ থেকে আন্তরিক শুভেচ্ছা।
:)
মুছুন