২ আগ, ২০১৫

ভারত ভ্রমন –পর্ব:- মানালি


ভারতের বিভিন্ন শহর নিয়ে ভ্রমণ ব্লগ লিখে আসছি আজ বেশ কদিন। কলকাতা , দিল্লী , আগ্রা , জয়পুর , আজমীররে পর সর্বশেষ আমি হামতাপাস ট্রেকিং নিয়ে লিখেছিলাম। হামতা পাসে ট্রেকিং এবং ক্যাম্পিং আমরা মানালী ট্যুরের মাঝেই করেছিলাম। আজ বসলাম মানালী নিয়ে লিখত। আগের লিখাগুলো পড়তে এ ব্লগসাইটে ঘুরতে পারেন বা উপরে লিখিত শহর গুলোয় ক্লিক করলেই হবে।

১৩/০৯/২০১৪

 চন্দিগড় থেকে আমরা সেই গতকাল রওনা দিয়েছি। সন্ধ্যায় HRTC এর বাসে চড়ে বসেছিলাম , চন্দিগড়ে প্রচুর হাটা – হাটি , সাইট সিইং এবং এর আগের ২ দিন টানা ট্রেন ভ্রমনে আমরা প্রায় অর্ধ মৃত ছিলাম। বাসে উঠেই মড়ার মত ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। চন্দিগড় – মানালী হাইওয়ের অনেক কুখ্যাত গল্প শুনেছি আগে। ভাগ্যিস ঘুমেই কাটিয়ে দিলাম সারা রাত , রাস্তার ভয়ংকর রুপ দেখতে হয়নি। তবে আধো ঘুমে মাঝে মাঝে চোখ অল্প একটু খুলে বাইরে তাকিয়েছি ঘোলা ভেজা কাঁচের ভেতর দিয়ে । কখনো পাহাড়ের ভেতরদিয়ে ট্যানেল বা কখনো সুরু বাঁক দিয়ে গাড়িটা রাগি ষাঁড়ের মত এগিয়ে যাচ্ছিল তখন চেখ আবার বন্ধ করে দিয়েছিলাম। যেন কিছু হলে না দেখি , দেখে মরার থেকে না দেখে মরা ভাল। চোখবন্ধ করা অবস্থায় শুনলাম বাসের ভেতর কেউ একজন তাদের নিজম্ব ভাষায় দোয়া দুরুদ পড়ছে , ভাষাটা হিন্দি নয় কিন্ত মধুর। এ দোয়া পড়ার শব্দ সাথে বাসের যান্ত্রিক শব্দ ব্যাতিত আর কোন শব্দ ছিলনা। সরি আমার পাশের সিটের আমার ভ্রমণ সঙ্গী সাফায়েতের নাক ঢাকার শব্দ আসছিল। আমার খুব প্রিয় এ মানুষটি জীবনে আর কিছু পারুক আর না পারুক দুটো জিনিস খুব ভাল পারে। একটি যে কোন পরিস্থিতিতে ঘুমোতে পারা অন্যটিও যে কোন পরিস্থিতিতে তার টয়লেট ধরে। 

২৬ এপ্রি, ২০১৫

“হামতা পাস” ট্রেকিং – The Valley of Gods

১৫/০৯/২০১৪
সাধারণত হামতা পাসের ট্রেক শুরু করার জন্য সবাই খুব ভোরে হোটেল ছাড়ে।এমন সুন্দর ঠান্ডা একটা সকালে কম্বল এর উষ্ন তাপমাত্রা থেকে বের হতে কার ভালো লাগে ? নেক সাহস আর মনবল খরচ করে অমরা অবশেষে ৮টার দিকে কম্বল এর মায়া ছাড়লাম।প্রতিজন আধঘন্টা করে টয়লেটে কাটিয়ে হোটেলের ছাদে গেলাম।সেই পাহাড়টাকে দেখতে যেটা গত দুদিন দুর থেকে উকি দিয়ে আমাদের মত সুদর্শণ যুবকদের দেখছিল , সাদা বরফের টুপি মাথায় দিয়ে। এ হোটেলটার প্রতি গত দুদিনেই কেমন যেন মায়া বসে গেছে , এর বারান্দা আর ছাদে আরাম কেদারায় বসে প্রাকৃতিক একটা স্বর্গ সারাদিন দেখা যায়। মনে হয় আমি এ হোটেলে আমার জীবনের বাকি সময়টা শুয়ে বসে কাটিয়ে দিতে পারতাম , শুধু যদি মালিক বেটা দিন প্রতি আমার ছেড়া-ফাটা মানিব্যাগ থেকে ৪০০ রুপি না গুনতো।
ছবি:- হোটেলের ছাদ থেকে।